https://www.youtube.com/watch?v=aV8sqFWVtl0
বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অস্কার। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কিছু মানুষের উদ্যোগে ১৯২০-এর দশকের শেষদিকে প্রবর্তিত হয় এ পুরস্কার। শুরুর দিকে কয়েক দশকের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সেটি পরিণত হয়েছে সিনেমার জগতে সবচেয়ে সম্মানজনক অধ্যায়ে।
১৯২৭ সালের এক হিমেল সন্ধ্যায় লস এঞ্জেলসের বাল্টিমোর হোটেলে জড়ো হন চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিবেশনের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন। মাত্র কিছুদিন আগেই তারা গঠন করেন অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আটর্স অ্যান্ড সায়েন্সেস -এ/এম/পি/এ/এস।
সামনের দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় সিদ্ধান্ত আসে যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ছবি আর কলা কুশলীদের পুরষ্কৃত করবেন তারা।
ছবি নির্মাণ ও পরিবেশক সংস্থা মেট্রো-গোল্ডউইন-মায়ার ইনকরপোরেশনের শিল্প নির্দেশক কেডরিক গিবনসের ওপর দায়িত্ব পড়ে পুরস্কারের ডিজাইন করার। এর মডেল হন মেক্সিকান পরিচালক এমিলিও ফার্নান্দেজ। প্রথমে কাদামাটি ও পরে তার ছাঁচ অনুসারে টিন আর তামার মিশেলে ভাস্কর জর্জ স্ট্যানলি তৈরি করেন ট্রফি। শেষ ধাপে এতে মোড়ানো হয় স্বর্ণের প্রলেপে। এভাবেই জন্ম বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় আসরের পুরস্কার- অস্কারের।
ক্রুসেডের তরবারি হাতে দাঁড়িয়ে থাকা নাইটের ভিত্তি হিসেবে লস এঞ্জলসের শিল্পী সাঁচি জুড়ে দেন ফিল্মের রিল আর রিলের ওপরে থাকা পাঁচটি রিংয়ের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয় চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, প্রযোজক ও কলাকুশলীর যৌথপ্রচেষ্টাকে।
অস্কারের আয়োজনের শুরুর দিকটা মোটেও অনুকূলে ছিল না আয়োজকদের। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের সি. ডাব্লিউ. সামওয়ে অ্যান্ড সনস ফাউন্ড্রি ১৯২৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে ট্রফি তৈরি শুরু করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম ‘অস্কার’ দেওয়া হয় প্রায় ১১ বছর বাদে।
অস্কারের প্রথাম আয়োজন হয় ১৯২৯ সালের ১৬ মে। হলিউডের রুজভেল্ট হোটেলে ওই আয়োজনে যোগ দিয়েছিলেন মাত্র আড়াইশর মতো অতিথি। আর এবার হলিউডের বিখ্যাত ডলবি থিয়েটারে ৮৯তম বর্ণিল আয়োজনে অতিথি ছিলেন তিন হাজারের ওপরে।